পর্ব- ১

কেউ মনে রাখে- কেউ ভুলে যায়ঃ
৮ আগস্ট আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল বন্ধু সংগঠন করে তুমি তো হিরো হয়ে গেলে। আমি জানতে চাইলাম কেমন করে। সে বললো তুমি তৃণমূল সাংবাদিকদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারছো।

সে এক নাগারে বলতে থাকলো আরজেএফ এর সদস্য হিসেবে অনেকে সরকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ পেয়েছে। মুল ধারার সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হতে পেরেছে। এটা আরজেএফ এর বিশাল একটা পাওনা। সে আরও বলল, যে সব সাংবাদিকরা সরাসরি বাংলাদেশের মহামান্য রাস্ট্রপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সরকারের সচিব মহোদয়দের দেখার সুযোগ পায় না সেই সুযোগ আরজেএফ এর মাধ্যমে পায়।
আমার বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করো তোমার কেমন লাগছে বন্ধু এই সংগঠন করে। তোমার ১৬ বছরের সহযোদ্ধারা তোমাকে কেমন সহযোগিতা করে।
আমি বললাম বন্ধু তোমার সহজ প্রশ্নটাই অনেক কঠিন। উত্তরটা আমি এক কথায় দেই। খই ভাজতে যারা দেখেছেন তারা সহজেই বুঝবেন। আগুনের গরমে খই ভাজার সময় ২/৪ টি খই ছুটে বাহিরে পরে দলছুট হয়ে পরে। সংগঠনও তেমনই। সকল সাংগঠনিক সুবিধা ভোগ করে অল্প কয়েকজন ছিটকে পরে তারা নেতা হওয়ার অপচেষ্টায় আলাদা ভইঁফোড় সংগ্রহ তৈরি করে নেতা হওয়ার চেস্টা করেছে। কিন্ত কাউকে সফল হতে দেখিনি। কেউবা হারিয়ে গেছে অথৈই অকর্মের সাগরে। কেউ বা লুকিয়ে আছে বর্ণচোরা মহরায়।
এর মধ্যে কেউ কেউ আছে সর্বসাংগঠনিক নেতা। যত সংগঠন আছে হোক সে কর্মক্ষম বা হাতুরে সবখানেই তা উপস্থিতি। বন্ধু বলল কেউ কি অকৃতজ্ঞ আছে।
আমি বললাম প্রায়ই আমি একটি কথা বলি আপনি যাদি কাউকে গলি দেখান সে আপনাকে মহাসড়ক দেখাবেই।
আবার কেউ আছে একদিনের উপকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে নিজে সব সময় তৈরী থাকে।
আমার বন্ধুর আবার প্রশ্ন কারো আচরনে কি কখনও কস্ট পাও। আমি বললাম না। আমি কখনও কস্ট পাই না, তবে অনেক কিছু শিখি। এমনও হয় ঢাকা শহর চিনত না, সংবাদ আর সাংবাদিকতাও বুঝত না। আরজেএফ এর হাত ধরে আজ একটা ভাল জায়গায় আছে। কিন্তু দেখলে একটা সালাম দেওয়া বা কুশলাদী জানতে চাইতেও যেন লজ্জা করে। তবে বিপদগামী ২/ ৪ জন ছাড়া সবাই বিগত ১৬ বছর যাবৎ আমার সাছে আছে সকল সংকট, সংগ্রাম, ইতিহ্য আর সাফল্যের আন্দোলনে। ( চলবে)।

লেখক:- এসএম জহিরুল ইসলাম                             প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন(আরজেএফ)